নিজস্ব প্রতিবেদক ::
পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র কক্সবাজার ভিশন ডটকমের সম্পাদক ও প্রাচীন দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক আনছার হোসেনের পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হোসেন সওদাগরের মরদেহ রোববার বেলা ১১টায় নামাজে জানাযা শেষে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি শুক্রবার রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে স্ট্রোকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনি ছাড়াও অসংখ্য ব্যবসায়ী বন্ধু এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম আবুল হোসেন সওদাগরের জানাযা পড়ান উত্তর নুনিয়াছড়া জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন। এই জানাযায় মানুষের ঢল নামে। কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান জানাযার নামাজে অংশ নেন। কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরাও জানাযায় অংশ নিয়েছেন।
এদিকে এক বিবৃতিতে মরহুমের বড় ছেলে সিনিয়র সাংবাদিক আনছার হোসেন তার বাবার মৃত্যুতে যারা শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং জানাযায় অংশ নিয়ে মরহুম আবুল হোসেনে আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেছেন তাদের সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি তার মরহুম বাবা ও মায়ের জন্য আবারও সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আবুল হোসেন সওদাগ দীর্ঘকাল কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাট এলাকায় মাছ ও বরফ ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তার বাবা মরহুম আলী হোসেনও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনিও জীবনকালে নতুন বাহারছড়া এলাকায় বাঁশ ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
আবুল হোসেনের বড় ছেলে আনছার হোসেন দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ সুনামের সাথে সাংবাদিকতায় যুক্ত আছেন। তার সম্পাদনায় কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র কক্সবাজার ভিশন ডটকম প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও কক্সবাজারের প্রাচীন দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মেজো ছেলে শাহজাহান হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় যুক্ত আছেন। তিনি শহরের হোটেল গোল্ডেন ইনের পরিচালক। অন্য দুই ছেলে হারুন হোসেন ও তুহিন হোসেনও ব্যবসায় যুক্ত।
পাঠকের মতামত: